নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া: রাজশাহীর পুঠিয়ার গোটিয়ায় মসজিদের মোয়াজ্জিন প্রতারণায় পড়ে প্রেম করে বিয়ে করে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন এবং সন্তান প্রসবের ৭ দিনের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। বর্তমানে শিশু সন্তান নিয়ে সঠিক বিচারের আসায় দারে দারে ঘুরছে তার পরিবার। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোছাঃ শ্রাবনী খাতুন বাদী হয়ে জেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ আমলী আদলত নং ২ এ একটি মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী পরিবার এবং রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের মসজিদের মোয়াজ্জিন প্রভাবশালী মোঃ আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে মোঃ আরমান মন্ডল তার বাড়ীর পার্শ্বে গরীব ভ্যান চালক মোঃ আলাল উদ্দিন এর মেয়ে মোছাঃ শ্রাবণী খাতুন সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোঃ আরমান মন্ডল তার বাবার অনুপস্থিতিতে বেশিরভাগ সময় মসজিদের ময়জেমের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি শ্রাবণীদের বাড়ীর পুকুর থাকার সুবাদে আরমান মাঝে মধ্যে যাওয়া আশা করে। এর মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরমান তার প্রেমিকাকে ভোগ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে প্রেমিকা সন্তান সম্ভবা হয়ে পরে। সে সময় বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে। এরমধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে জানা জানি হয়। প্রেমিকের পরিবার অস্বীকৃতী জানায়। পরবর্তী সময়ে সেই প্রমিকের প্রভাবশালী পরিবার কৌশলে কিছুটা গোপনে সমাজের প্রধানদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে পুঠিয়া ইউনিয়নের কাজী মেহেদী হাসানের নিকট বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে। এরপর থেকে যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে সেই প্রেমিকের পরিবার। পরবর্তীতে হাসপাতালে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান প্রসবের মাত্র ৭ দিনের মাথায় তালাক দেয়।
মোছাঃ শ্রাবনী খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই আরমানের পরিবার আমাকে যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। সন্তান প্রসবের ৭ দিনের মাথায় আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে। কিন্ত আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি। আর সন্তান জন্মের পর থেকে সন্তানের ভরণ প্রসনের কোন খরচ দেয়না। এ ব্যাপারে রাজশাহীর এ্যাডভোকেট আসলাম সরকারের মাধ্যমে কোর্টে একটি মামলা করেছি। এর সুষ্ট বিচার প্রর্থনা করেন।
মোঃ আরমান আলী সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি শ্রাবনীকে তালাক দিয়ে দিয়েছি বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেনি।
গোটিয়া এলাকার সমাজের প্রধান আজগার আলী জানান, ঘটনাটা সঠিক। মেয়ের পরিবার খুবই গরিব। সে নায্য বিচার প্রাপ্তির জন্য আদালতে মামলা করেছে। ইতিমধ্যে কোর্টে থেকে লোক এসেছিলো তাদেরকে সমন দিতে। আর আরমানের বাবা আঃ সাত্তার আমাদের মসজিদের মোয়াজ্জিন। তার অনুপস্থিতিতে সে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতো। এই ঘটনার পর থেকে তাকে মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাকবীর হাসান জানান, সে একটি মজজিদের মোয়াজ্জিন হয়ে একটি গরীব মেয়ের সাথে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে তারা আমার ইউনিয়ন পরিষদকে জানানোর পর তারা আর কোন যোগাযোগ করেনি।
নতুন প্রত্যাশায় ।। আকাশ বার্তা
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য...ধন্যবাদ