Header Ads Widget

দীর্ঘ বারো বৎসর হয়রানি নির্যাতনের শিকার

 

স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তক থেকে জানতে পেরেছিলাম যে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত জেল বন্দী শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলখানায় হামলা করে তৎকালীন তার লোকজন তাকে মুক্ত করে এনেছিলেন। এটা কি সঠিক প্রক্রিয়া ছিলো এবং আইন কি এভাবে কাছ করে কিনা? আমি মনে করি বিশ্বজুড়ে আইনী কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী, বিবেকবান, পরিচ্ছন্ন, সত্যিকারের ন্যায় পরায়ণ ও টেকসই একগুচ্ছ পদ্ধতি। কোন অবস্থা কিংবা পরিবেশ-পরিস্থিতে একে দূর্বল মনে করা সঠিক ভাবনা নয়। আমি মনে করি এই ঘটনা শেখ মুজিবকে লাগামহীন অনিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক আচরনে প্রবিষ্ট করে তোলে তার ফলে শেখ মুজিব ও তার বাহিনীর এই ধৃষ্ঠতার পরিনতিই ভবিষ্যতে তার আততায়ী অকাল মৃত্যু। 



দীর্ঘ অনেক বৎসর যাবৎ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বৈষম্য, হয়রানি, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বারংবার বলা সত্ত্বেও এর কোন সমাধান ও প্রতিকার আমি পাই নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ করছি, মামলা দায়ের করেছি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার। কিন্তু তাতে করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুপ আচরন অব্যাহত রয়েছে ও আরো কঠোর আচরন আরোপ করেছে আমার প্রতি। কিন্তু আমার পূর্ন অধিকার রয়েছে আইনিভাবে এটা মোকাবেলা করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারকেও কোর্টে গিয়েই এর মোকাবেলা করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে আরো এতোভাবে পদযুস্তু করেছে যে আমার প্রতিকার চাইবার বাকী পথগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। এবং বিভিন্নভাবে একে ডাইভার্ট করবার চেষ্টা করে আসছে সরকার। 
 

দীর্ঘ বারো বৎসর হয়রানি নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি অনেক দূর্বল এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলে অসুস্থতাও বাড়ছে। একসময় আমি হয়তো আর এমন বলতেও পারবো না কিংবা মৃত্যুবরন করবো। কিন্তু বাংলাদেশে এইসব অরাজকতার ফলে আওয়ামী লীগের চলমান ধ্বস কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়। আমার প্রতি বৈষম্য হয়রানি নির্যাতন ও নিপীড়নের পরিমাণের অনেক বেশী হাজার হাজার গুন বেশি মূল্য তাদের দিতে হবে। কারন আমার কিন্তু পূর্ন অধিকার রয়েছে আদালতে আমার দায়ের করা মামলা সক্রিয়ভাবে ভাবে চলতে দিয়ে আইনী সমাধান পাবার। 
 

আমি আমার বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, আইনি প্রক্রিয়া ও বিচার ব্যবস্থা তাদের নিজেদের ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। আমার ধারনা কিংবা পর্যবেক্ষনসমূহ কি ভূল? আর তা যদি না হয় তবে আইন ও বিচার নিশ্চয় প্রতীকি নয়, কিংবা কার্টুন নয় বা ক্লাউন নয়। 
 

 সুতরাং আইনী কাঠামোর মধ্য দিয়ে না হলেও আওয়ামী লীগকে তাদের অপরাধের শাস্তি পেতে হবে। সর্বপরি আমি মনে করি সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে আমাকে আদালতের আইনি ব্যবস্থা ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে দেয়াই শ্রেয় হবে। আওয়ামী লীগ সরকার কোন অবস্থাতেই অফিসিয়ালি কিংবা আনঅফিসিয়ালি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে যেতে পারবেন না। মধ্য রাতে যদি আদালত বসতে পারে এবং বাসায় থেকে যদি বিচারক রায় প্রদান করতে পারেন, তবে অফিসিয়ালি আইনী প্রক্রিয়া ও বিচার কার্যক্রম এড়িয়ে, বাধা দিয়ে এবং তাতে অংশগ্রহণ না করে ও অন্যদের তাতে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে অপরাধী গোষ্ঠী কি স্বীয় অপরাধ গোপন করে ফেলেছে বলে আপনি মনে করেন? 
 

সবশেষে, এই আওয়ামী লীগ সরকারের সহ-অবস্থানে শক্তিশালী পুরুষ যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে নারীতো তুচ্ছ। আর আওয়ামী লীগের তৈরি ও পরিকল্পিত সমস্ত ফাঁদে আওয়ামী লীগ নিজেরাই পতিত হবে। 
 

আর একটি বিষয়ও যুক্ত করে দিতে চাই যে, ইসলাম আবির্ভাবের ক্ষমতা ও শক্তির স্বর্নালী সময়গুলিতে খ্রিস্ট সভ্যতার করুন ও নিপীড়নের যুগসমুহের কথা। তখন এমন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ছিলো না কিন্তু শুধু মাত্র জনবলের শক্তিতে সামরিক ক্ষমতাবান মুসলিম সভ্যতাসমূহের আগ্রাসন থেকে জ্ঞান ও পেশীশক্তিতে বলীয়ান হয়ে পুনরায় আজকের পরাশক্তিরুপে উঠে এসেছে কিন্তু তেমন সমাজ, সভ্যতা ও শক্তি-ক্ষমতার আগ্রাসন থেকে বেরিয়ে আসার কথা নয় কিন্তু খ্রিস্টান সভ্যতা সেই দুঃসহ বিভিষীকা হতে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীর বৃহৎ মুসলিম সভ্যতা বাংলাদেশের এই আচরনও পৃথিবী স্মরন রাখবে ইতিহাসের পাতায়।

 

 

 

 

 

নতুন প্রত্যাশায় ।। আকাশ বার্তা

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ