তেঁতুল Fabaceac পরিবারের amarindus গণের অন্তর্ভুক্ত টক জাতীয় একটি বৃহৎ ও সুদৃশ্য চিরসবুজ ফলের বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম:Tamarindus indica. তেঁতুল আমাদের দেশের বসন্তকালের টকজাতীয় ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা, তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আবার তেঁতুল গাছে ভুত থাকে এই ভয়ে অনেকে কাছে ভিড়েন না। এ কারণে গাছেই পেকে নষ্ট হয়ে যায় উপকারী এ ফল।
চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। যা মানব দেহ
সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। টক, মিষ্টির মিশেলে এক স্বর্গীয় স্বাদ পেতে
খেতে পারেন তেঁতুলের শরবত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে
শরীরের বিষ উপাদান বের করে দেওয়া, মেদ ঝরানো ইত্যাদি নানা উপকার পাওয়া
যায় তেঁতুলে। হার্ট ভালো রাখতেও তেঁতুলের কার্যকারিতা প্রমাণিত।
জেনে নিন রোজ একবার অন্তত তেঁতুল খাওয়া কতটা উপকারী?
১. তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েডস ও পলিফেনল
থাকে। প্রতিদিন তেঁতুল খেলে মেদ ঝরে যায় দ্রুত, এই তথ্য গবেষণায়
প্রমাণিত।
২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী তেঁতুল। ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ডায়েটে তেঁতুল থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
থাকে।
৩. পেপটিক আলসারে অনেকেই ভোগেন। খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তেঁতুল পেটের মধ্যে এই
আলসার রুখে দেয়। তেঁতুলে থাকা পলিফেনল এই ধরনের আলসার তৈরি হতে দেয় না।
৪. হজম শক্তি বাড়িয়ে দিতে তেঁতুলের জুড়ি নেই। বহু প্রাচীন যুগেও পেটের
সমস্যা হলে বা পেট পরিষ্কার না হলে তেঁতুল দেওয়া হত রোগীকে। ডায়েরিয়া
সারাতেও তেঁতুল খুবই কাজে দেয়।
৫. হার্ট ভালো রাখে তেঁতুল। বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ভালো
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের বৃদ্ধি রুখে
দেয়। বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় রক্তের চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. লিভার ভালো রাখে তেঁতুল। ফ্যাটি লিভার হয়ে গেলে, ডায়েটে রোজ তেঁতুল
রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। লিভার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
নতুন প্রত্যাশায় ।। আকাশ বার্তা
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য...ধন্যবাদ