স্বাস্থ্য ডেস্ক: ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। ঈদ ঘিরে ধনী-গরিব সবার
ঘরেই কমবেশি কোরবানির মাংস থাকে। বিশেষত গরুর মাংস। অনেকেই মনে করেন গরুর
মাংস বেশি খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। আবার কোলেস্টেরল বেশি থাকায় অনেকে
আবার খেতে চায় না। কিন্তু পুষ্টিবিদরা মনে করেন, গরুর মাংসে যতটা পুষ্টিগুণ
থাকে তা অন্য কোনও খাবারে পাওয়া কঠিন। একইসঙ্গে গরুর মাংসের ক্ষতিকর
দিকগুলো সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করেন পুষ্টিবিদরা।
ঈদকেন্দ্রিক দিনগুলোতে খাবার টেবিলে রান্না করা গরুর মাংস পর্যাপ্ত রাখা
আছে বলেই যে বেশি খেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বরং জিভে লাগাম টেনে পরিমাণ
মতো খাওয়াটাই নিরাপদ। তবে গরুর মাংস কতটুকু খাওয়া নিরাপদ সেটা নির্ভর করবে
মাংসটা কিভাবে রান্না হলো তার ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি হেলথ জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর শরীরের ২টি
অংশে চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকে। একটি হলো গরুর পেছনের রানের উপরে ফোলা
অংশের মাংস। যেটাকে রাউন্ড বলা হয়। এবং পেছনের দিকের উপরের অংশের মাংস
যেটাকে সেরলয়েন বলা হয়।
মাংসটা রান্নার আগে মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বি কেটে ফেলে দিলে
কোলেস্টেররের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। তাই গরুর মাংস রান্নার আগে মাংস থেকে
চর্বি আলাদা করুন। চেষ্টা করুন ছোট টুকরো করে কাটার। কারণ মাংসের টুকরো
ছোট হলে এর চর্বির পরিমাণও কমে যায়। এ কারণে মাংস কিমা কিংবা মাংস বাটায়
চর্বি কম থাকে।
মাংসটা কাটা শেষ হলে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কিছুক্ষণ পানিতে সেদ্ধ করুন। এরপর
পানিতে দেখবেন চর্বির স্তর উঠে আসছে। মাংস কিছুক্ষণ ফোটানোর পর সেই পানিটা
ফেলে দিন। তবে এক্ষেত্রে ফেলে দেয়া পানির সঙ্গে মাংসে থাকা ভিটামিনস ও
মিনারেলসও বেরিয়ে যাবে।
সেদ্ধ করা হয়ে গেলে যতটা সম্ভব কম তেল দিয়ে রান্না করুন। ঘি, মাখন, ডালডা
কিংবা অতিরিক্ত মসলা না দেয়াই ভালো। রান্না হয়ে গেলে সেই মাংস পরিবেশন
করুন।
মনে রাখতে হবে, সুস্থ থাকার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। তার ওপর চলছে
করোনার সংক্রমণ কাল। তাই গরুর মাংস খেতে হবে বুঝেশুনে, পরিমাণ মতো এবং হুঁশ
রেখে।
নিচে ইংরেজি অনুবাদ পড়ুন...
[Translate English]
[Translate English]
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য...ধন্যবাদ