Header Ads Widget

লোকালয়ে হনুমান, নিরাপদ স্থানে স্থান্তারের দাবী


রায়হান আলম, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে প্রায় পনেরো দিন আগে লোকালয়ে আসায় হনুমানটিকে নিরাপদ স্থানের স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি। বর্তমানের উপজেলা পরিষদ অফিস পাড়া এলাকায় চালাচল করছে। হনুমানটিকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় বেড়েই চলছে। 


স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ২৩ জুলাই গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবোন ভারতীয় সীমান্তের খেড়শুকনা এলাকা থেকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি হনুমান গোকুল গ্রামে আসে। দেশে আসা বন্য এই প্রাণীটি বিভিন্ন লোকালয়ে ঘুরছে খাবারের উদ্দেশ্যে। কখনো ডালে, কখনো রাস্তায়, কখনো বাড়ির ছাদে ওঠে ছুটাছুটি করছে। 


এলাকাবাসী ধারণা করছেন, গত মাসের শেষ দিকে ভারি বৃষ্টিপাতে হুনমানটি ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অথবা বৃষ্টিতে ভেসে দল ভেঙে দিশেহারা হয়ে গোকুল গ্রামের চলে এসেছে। এরপর আড়ানগর, সিংগারুল গ্রাম হয়ে বর্তমানে ৬/৭ দিন থেকে উপজেলা পরিষদ অফিস পাড়া এলাকায় চলাচল করছে। 


স্থানীয় রহিন পাহান, আব্দুল মালেকসহ অন্যরা জানান, হনুমানটির মধ্যে শান্তভাব বিরাজ করায় এখনো কারো ক্ষতি হয়নি। তবে অনেকে হাত বাড়িয়ে খাবার দিলে খাবার নিয়ে আবারো গাছের ডালে গিয়ে সেগুলো খাচ্ছে। প্রতিদিনই অনেক লোক দেখতে আসছেন হনুমানটিকে। দ্রুত হনুমানটিকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করার দাবি জানান। 


গণমাধ্যম কর্মী আবু মুসা স্বপন জানান, এলাকায় বৈদ্যুতিক তার রয়েছে। যে কোন সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সে জন্যে জাতীয় উদ্যান ‘আলতাদিঘী’ শালবনে স্থানান্তর করার অনুরোধ করেন। 


ধামইরহাট উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এরা প্রকৃতির বন্ধু। এই বন্ধু মানুষের কখনো ক্ষতি করে না। খাবারের সন্ধানে হয়তো প্রতিবেশি ভারতে থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বন পবিভাগের পক্ষ থে

কে প্রকৃতির বন্ধুকে অযথা বিরক্ত না করতে মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে।


ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায় জানান, বন বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জাতীয় উদ্যান ‘আলতাদিঘী’ শালবনে স্থানান্তরের উদ্যোগ দ্রুত নেওয়া হবে। যাতে হমুনানটি নিরাপদে থাকে অন্যদিকে তার দলে ফিরে যেতে পারে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ