Header Ads Widget

গবেষনায় "পা"

গবেষনায় "পা"

-হাতাশি।



যখন শহরে থাকিতাম তখন আমার পা দু'খানা ছিলো একদম ফর্সা বলতে গেলে প্রায় দুধের মতো সাদা! কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক গোলযোগ, অস্থিরতা, দ্বন্ধের মধ্যে পড়িয়া ঢাকা শহরের সমস্ত কাজকর্ম ও চাকরি হারাইয়া গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে চলিয়া আসিয়াছি যা সাধারণত শেষ আশ্রয়। ইত্যবৎসরে পৃথিবী জুড়িয়া করোনা ভাইরাসের মহামারী নামক কোভিড-১৯ রোগ প্লেগ যুগের মতো করিয়া জগৎকে স্তব্দ করিয়া দিয়াছে। 

 

দীর্ঘদিন, বস্তুত পাঁচ মাসের অধিক সময় যাবৎ বাংলাদেশসহ দেশে দেশে লকডাউন চলিতেছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কিছু আত্যবশ্যকীয় সরকারী দপ্তর এবং করোনা ভাইরাসের রোগিদের চিকিৎসা প্রদান ও ডাক্তারী পরীক্ষার কার্যক্রম চালু রহিয়াছে ও জোরদার করা হইয়াছে। এই মহামারীর টিকা না আসা পর্যন্ত পৃথিবীর জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হবে না বলিয়া শুরূতেই মতামত দিয়া রাখিয়াছিলেন আমিরিকার ডাক্তার ফাউচিসহ পৃথিবীর অনেক গবেষক ও বিশেষজ্ঞ। 

 

তবে বিজ্ঞানীদের মতো যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রতিষেধক ও টীকার কাঁচামাল হিসেবে কিছু মেডিসিন উপস্থাপন করেন হোয়াইট হাউসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে, যা সবাইকে পুলকিত করেছে। অবশ্য তিনি হয়তো গবেষক, বিজ্ঞানী ও ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়েই তা বলেছেন। তবে আমেরিকার একাধিক প্রেসিডেন্ট ও রাজনৈতিবিদ বিজ্ঞানী ছিলেন এমনটা আমেরিকার ইতিহাসে পড়িয়াছিলাম। 

 

বিশেষ করে আমেরিকান সেন্টারের সদস্য থাকাকালীন সময়ে সংগ্রহ করা আনফিনিসড ন্যাশন বইটি আমার অনেক ভাল লাগিয়াছিলো। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, এডাম স্মিথ এবং প্রমুখ। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের লাইটিং রড এবং এই ধারনা থেকে গবেষনায় প্রাপ্ত অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তি এবং এড্যাম স্মিথ এর অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রভুত উন্নতির জন্য তাকে অর্থনীতির প্রভু বলা হইয়া থাকে।


ইদানিং দীর্ঘ অনেক দিন যাবৎ গ্রামে থাকার কারনে খাদ্যাভাস, রুচি ও জীবন-যাত্রা ও জীবিকার পরিবারের ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করি তাই আগের মতো লিখিবার শারীরিক ও মানসিক শক্তি পাই না। অধিকাংশ সময় টিভি অনুষ্ঠান বিশেষ করে সংবাদ দেখিয়া সময় কাটাই। তবে ইন্টারনেটের পর্যাপ্ত এমবি থাকলে ইউটিউব থেকে মুভির ডাউনলোড করে দেখি। ইংরেজি মুভিগুলি সাধারণত এক-দেড় ঘন্টার হয়। তবে অনেক আগে দশ ঘন্টার বেশি সময়ের একটি গেম মুভি "ডেট্রয়েট বিকাম হিউম্যান" দেখেছিলাম যা বস্তুত প্রধানত তিনটি পর্বের ছিলো, কিংবা মেগা সিরিয়ালের মতো। 

 

সর্বশেষ দুইঘন্টার কিছু বেশি সময়ের একটি ইরোটিক মুভি "বিটার মূন" দেখিয়াছি। আর কিভাবে সময় কাটাইবো বুঝিতে পারিতেছি না। ডায়ালগ, কথা, বা বাক-বিতন্ডতা সর্বস্ব বাংলা সিনেমার চেয়ে কেন যেন লাইভ টিভি টকশোগুলো ভালো লাগে আমার কাছে! অদ্ভুদ! তাছাড়া এককালে সাংবাদিকতা করিয়াছি তাই সংবাদ শিল্প-সাহিত্য ও এই জগতের প্রতি দূর্বলতা রহিয়াছে। বিশেষ করে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মানুষের জীবন-যাত্রা, কর্ম-পেশা ও রুচিবোধ, ইত্যাদি দেখলে শিক্ষার গুরুত্ব ও শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এটা পরিষ্কার বুঝিতে পারা যায়। তেমনি সংবাদ হচ্ছে গিয়ে সমাজের দর্পন। ঈশ্বর আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। ইম্মানুয়েল। 

 

ভবিষ্যত পৃথিবীতে শিক্ষা ও সংবাদ ব্যবস্থার মহাকাব্যিক ও বৈজ্ঞানিক প্রভুত উন্নতি হইবে, আমি তো এমন ভীশন দেখিয়াছি। বর্তমান পৃথিবীতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার যে উন্নয়ন পর্যায়ে রহিয়াছে তা কি যথেষ্ট মনে করেন রাজনৈতিকবিদরা ও জনগন? আমিরিকা ও ইউরোপ গনতন্ত্রের ভাল চর্চা করে বলা যাইতে পারে। যাহারা গনতন্ত্র ভিন্ন অন্য রাজনৈতিক চর্চা করেন তাহারাও তা কতটুকু ভালো বা সঠিক করে থাকে? আমিরিকা বিশ্বজুড়ে দাসপ্রথা বিলুপ্তকরন, নারী অধিকার ও শ্রম অধিকার, ইত্যাদি মানবাধিকারের পথ প্রদর্শক‌, যা শুধু তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক নয় বরঞ্চ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পৃথিবীর সর্বত্র বাস্তবায়িত হইয়াছে।


পৃথিবীজুড়ে প্রতিটি মানুষের সুখ-সাচ্ছন্দ্য, নিজস্ব জীবন-যাপন ও উন্নতিতে তাত্ত্বিক, প্রায়োগিক ও বাস্তবায়িত আমেরিকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনস্বীকার্য অবদান রহিয়াছে, সুতরাং কোন একটি অবদান অস্বীকারযোগ্য? যা আর কোন জাতি বা দেশের এমন এককভাবে নেই। এবং আমিরিকা তাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও আবিষ্কার অন্য সবার সাথে ভাগ করে নেয়। আর এখন তাহারা পৃথিবীর বাহিরে বহিঃবিশ্বে মানব বসতি স্থাপন শুরু করিয়াছে। বিশেষ করে মঙ্গল গ্রহে। এইসব কিছু সম্ভব হয়েছে ইচ্ছে শক্তি, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় আর দয়ামায়াহীন ভাবে গবেষনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যায় করে যাওয়া বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ আর শতাব্দীর পর শতাব্দী! ঠিক যেমন আপনাদের জীবনের প্রচেষ্টা, মোহ, ভোগ-বিলাস ও লাক্সারী লাইফ স্টাইল। এইসবই সেইসব গবেষনার ফসল। যেন গবেষনাই ধর্ম। 



গবেষনায় ধর্ম' এই শিরোনামে বাংলাদেশের সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও বাইবেল গবেষক রেভারেন্ড ডঃ এম এ ওয়াহাব একটি প্রবন্ধ লিখেছেন খ্রিস্টান থিওলজির উপরে। তিনি বছরের পর বছর লেখালেখি ও খ্রিস্টান থিওলজি সাহিত্য নিয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জার্মানি থেকে প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা করে ফিরে বাংলাদেশের খ্রিস্টান কমিউনিটিতে আত্মিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করিয়াও আসিতেছেন। 

 

কিন্তু দৃশ্যমান কোন স্বীকৃতি নেই। আমেরিকা মিনেসোটা মিশনারি এইড থেকে রেভারেন্ড উপাধি পেয়েছেন এবং স্ট্রিলিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি। আমি ঢাকায় চাকরি করা কালীন সময়ে তার সাথে কিছু কাজ করে ছিলাম বিশেষ করে ওয়েবসাইট তৈরী করে দেয়া, কিছু ডকুমেন্টেশন ওয়ার্ক, ইত্যাদি। তিনি আমাকে সামান্য কিছু পকেট মানি কিংবা যাতায়াত খরচ দিতে পারতেন তার নিজস্ব খরচের অংশ হতে। যদিও তার কাজ আর আমার কাজের গতিপথ যথেষ্ট ভিন্ন। তাই বেকার হবার পরও তার সাথে থেকে কাজ করা হয়ে ওঠে নি। তদপুরি আমি শারীরিক ভাবে কিছুটা ইনজুরিতে আছি ২০০৭ সাল থেকে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ হলে কিংবা কিছু টাকা জমিয়ে তিনি আমাকে দু-চার বিকাশ করে পাঠাইয়া বললেন, তুমি আসো, কিছু কাজ আছে করে দিতে হবে। আমি গিয়েছিলাম। বন্ধুর মতো। 

 

তবে পায়ের ইনজুরির কারনে প্রেসার হয় এমন পরিশ্রম বা বেশী যাতায়াত করতে পারি না। তিনি পাকিস্তান আর্মি পরে বাংলাদেশ আর্মিতে চাকরী করতেন। আরো আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার সাথে কাজ করার পর সরকার আমাকেও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি যুক্ত করার প্রয়াস নিয়েছিলো। শিক্ষকতা সম্মানের ও আকর্ষণীয় বেতনের হয়ে থাকে বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরি হলে। আবার আমি যা লিখি সরকার মাঝে মাঝে আমাকে সেসবে প্রয়াস করে কিন্তু আমার কেরিয়ার ও গতিপথ আমি কি সেদিকে মনস্থির করি কিনা তা দেখে না ফলে তা আমার জন্য হয়রানি-নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়ে যায়। এই ধরনের ইনফ্লয়েন্স আমি পছন্দ করি না যদি না তা আমার নিজস্ব, ব্যাক্তিগত ও পেশাগত লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়। একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করুক আমি তা পছন্দ করি না। আর তা যদি হয়ে যায় তবে আমার কাজ-কর্ম ও লেখায় তার নেতিবাচক প্রভাব ও ইনফ্লয়েন্স হয়‌‌। 



তবে বেকার হয়ে যাওয়ার আমার রাগ-ক্ষোভ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কারন তারা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বে রহিয়াছে। তবে শেখ হাসিনাও ভাবতে পারে আমি তাঁর গোপালগঞ্জ জেলার ন্যাটিভ হয়েও তার সমর্থনের লোক নই, কিন্তু সরকার কিংবা প্রশাসনের ক্ষেত্রে কি এমন বৈষম্য করা সঠিক ক্ষমতায়ন কিনা। আলোচকগন ভেবে দেখবেন। একদিন হয়তো আসবে যখন সমাজ, সরকার, প্রশাসন ও রাষ্ট্র আলোচনা নির্ভর হবে। 



আমেরিকার গবেষনা শক্তি দেখিয়া, পড়িয়া এবং জানিয়া আমার মনেও গবেষনা উদয় হইয়াছে, যদিও আমি তা নই। ঢাকা থাকতে কর্ম-ব্যাস্ত সময়ে ও আউটডোরো সর্বদা জুতো-মুজো পরেই থাকা হতো। কিন্তু গ্রামে এখন তা হয় না বরঞ্চ ইদানিং স্পঞ্জ স্যান্ডাল ব্যাবহার করে থাকি, তাই ধুলো বালি ময়লায় পা'দুখানা অনেক কালো হয়েছে। 



আমার বাঁ'পায়ের বুড়ো নখে ইনফেকশন জনিত কারনে সামান্য একটি মেডিক্যাল সার্জারি হয়েছিলো ২০০৭ সালে‌। এখনো তার ব্যাথাযুক্ত প্রভাব ও ইনজুরির বাম পায়ে থাকলেও হাঁটতে চলতে সামান্য ধুলো বালির ময়লা সেখানে জমে না যদিও নখের ওই অংশটির কিছু এখনো হাঁ হয়ে আছে। অথচ ডান পায়ের শক্তভাবে আচ্ছাদিত বুড়ো নখের কর্নারের ভিতরে কালো ময়লা জমতে দেখছি ইদানিং। আর তাতে গবেষনা করে আমি দেখলাম যে আমার ডান পায়ের বুড়ো নখের ভিতরে ঐ স্থানে এমন কোন রসায়ন আছে বা তৈরি হয় তা অতিক্ষুদ্র ময়লা/ধুলো কন্যাকে আকর্ষণ করে জমিয়ে রাখে কিংবা দেহ হতে নিঃসরণ হয়ে সেখানে জমা হয়। এটা আমার ধারনা হলো কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত কি হবে জানিনা। তবে যতটুকু সম্ভব নখটুকু ব্লেড দিয়ে কেটেছি অতঃপর কিছু দিয়ে না খুঁচিয়ে বরঞ্চ কিছুক্ষণ ট্যাপের পানির স্পীডে রেখে অবশিষ্ট নোংরা পরিস্কার করে নিয়েছি। দুই পায়ের দুটি নখের ছবি সংযুক্ত। 

 

 

নতুন প্রত্যাশায় ।। আকাশ বার্তা

 

 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ