Header Ads Widget

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে আমি কোন সংঘাত কিংবা শত্রুতা পোষন করি না

 
 
 
"আর্মিরা" 
- এইচ.জেড. তালুকদার। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে আমি কোন সংঘাত কিংবা শত্রুতা পোষন করি না কিন্তু বাংলাদেশ যখন দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তি মিশনের নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে যখন সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে তখন সত্যিই তাদের শিক্ষা আদর্শ চেতনা বোধ জ্ঞান সচেতনতা দায়িত্ব কর্তব্য সততা নিষ্ঠার প্রতি প্রশ্ন ওঠে। 


লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বহিষ্কৃত অবঃ) ফারুক খান এমপি এখন যদিও রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিন্তু তার আচরন ও রুচিবোধেও সেনাবাহিনীকে মুল্যায়ন করবার সুযোগ থেকে যায়। তদপুরি সে অনেক অনৈতিক কাজ ও ষড়যন্ত্রমুলক অপরাধ কার্যক্রমের সাথেও জড়িত। তাই বেশ কিছু বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদের প্রথম টার্মে যখন আমি তার কুরুচি সম্পর্কে জানতে পেরেছি তখনই আমি বলেছিলাম তাকে প্রত্যাহার করে নিতে কিন্তু সে সেনা কর্মকর্তা সাংসদ মন্ত্রী তাই কেউ আমার কথায় মনোযোগী হয় নি। যাইহোক, আমাদের পারিবারিক একটি ষড়যন্ত্রের সাথেও সে জড়িত। 


খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলায় আমাদের অর্থ্যাৎ পিতা-মাতা, ভাই-বোন সকলের কিছু জায়গা জমি রয়েছে তা সব মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ একর হবে। কিছু ফলের বাগান (এখন অবশ্য তা নেই পরিচর্যার অভাবে) এবং আরো রয়েছে ফরেস্টি প্রজেক্ট। আমরা যখন সেই জায়গা জমি পেয়েছিলাম, সমসাময়িক সময়ে সেখানে অর্থাৎ পলাশপুর গ্রামে (এখন মাটিরাঙা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত) একটি বিডিআর ক্যাম্প (বর্তমানে বিজিবি) পলাশপুর বিডিআর ক্যাম্প অনুমোদন হয়েছিলো কিন্তু পার্বত্য অঞ্চল বিধায় পলাশপুর গ্রামে ক্যাম্প করবার উপযুক্ত জমি না পেয়ে পাশের ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় পলাশপুর বিডিআর ক্যাম্প।
 
 কিন্তু কিছু বছর পরে যখন আমাদের জায়গা জমি পরিস্কার করে আবাদ, বসবাস ও ভোগদখলগ্রস্থ হলো তখন দেখা গেলো ঢাকাগামী মুল সড়কের পাশে রেখে বেশ কিছুটা সমতল ভূমিসহ আমাদের ঐ জায়গা মিলিটারি ক্যাম্প করবার জন্য উপযুক্ত স্থান। যদিও সে জায়গার বর্ধিত কিছু ভালো ও উপযুক্ত অংশ স্কুল, মাদ্রাসা (এখন অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে) এবং মসজিদ করবার জন্য দিয়ে দেয়া হয়। আর তারপর থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলতে থাকলো আমাদের উচ্ছেদ করে সেখানে বিজিবি ক্যাম্প করবার জন্য।
 
কিন্তু জনগনের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করার রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও আচরনবিধি রয়েছে, তবে সে পথে না গিয়ে সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী সংস্থা সমুহ গোয়েন্দা সংস্থা সহ আমাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করতে সমর্থ হয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্র প্রক্রিয়ার সাথে লেঃকর্নেল ফারুক খান এমপিও যুক্ত রয়েছে আর সেই সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। 

আমি একাধিকবার এই অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র তার নিজস্ব কাজ ও গতিপথকে সঠিক ও দেশপ্রেম মনে করেছে আর আমাকেও নানা হয়রানি নির্যাতন করে পেশা ও কর্ম থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে। 

এটা ঠিক যে সকল সন্ত্রাসের সন্ত্রাস হচ্ছে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনী সমুহ কিন্তু সব স্থান কাল পাত্র কি এমন জঘন্য ষড়যন্ত্র করবার জন্য বিবেচ্য হতে পারে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ