বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনীকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মেয়র বলেন, বাবলা বনের হারনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।আগামীতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বনায়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা ব্যক্ত করেন।
উজাড় হয়ে যাওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের একাধিক গণকবরের জন্য স্মরনীয় 'বাবলা বন'র হারানো ঐতিহাসিকতা ধরে বাবলা বনে বাবলা গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিলো জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম, রাজশাহীর মাসব্যাপী কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।
বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের নেতৃবৃন্দ নফিকুল ইসলাম সেল্টু, জোবায়ের হাসান রুবন, মির্জা মো. শাহীন শাহ আলী শোভা, আমিনুর রহমান খান রুবেল ,মীর ইশতিয়াক আহম্মেদ লিমন হাসান খান, হায়েস উদ্দিন মাসুম, দ্বীন মোঃ বাবু, মিজান সহ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের পক্ষে অন্যতম সংগঠক সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর রহমান খান রুবেল উপস্থিত সকলে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী নগরীতে পদ্মা নদীর তীরে 'বাবলা বন' একটি ঐতিহাসিক স্থান। এক সময়ে পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ তীর ঘেষে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছিলো প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া বাবলা গাছের সমারোহ। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘাতক হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের দোসর স্বাধীনতা বিরোধী দালাল রাজাকার- আলবদর ও শান্তি কমিটির খুনিরা এই বাবলা বনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তিকামী অসংখ্য বাঙ্গালীকে হত্যা করে গণকবর দেয়।
স্বাধীনতার পরে কালের পরিক্রমায় ভূমিদস্যু ও দখলদারদের দৌড়াত্বে ধীরে ধীরে উজাড় হয়ে যায় এই বাবলা বন। সেই পুরোনো স্মৃতিময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয় সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম, রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য...ধন্যবাদ