সারা দেশ করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার একযোগে ১৮ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন রয়েছে। সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতেই বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিন সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালে বিভিন্ন গন্তব্যে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার,
নীলসাগর, সোনার বাংলা, তিস্তা, পারাবত ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস, এগার সিন্দুর
প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক
জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ট্রেন চলবে। যেহেতু এখন ট্রেনের সংখ্যা
বেড়েছে ফলে যাত্রীর চাপও বাড়বে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি
কড়াকড়িভাবে নজরে রাখা হবে।
আজ চালু হওয়া ১৮ জোনের ট্রেনের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা-চট্টগাম- সিলেট রুটে
পাহাড়িকা/উদয়ন, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে এগারো সিন্দুর প্রভাতী,
ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্টলা এক্সপ্রেস,
সান্তাহার-বুড়িমাড়ি-সান্তাহার রুটে করতোয়া এক্সপ্রেস,
রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী
রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী-খুলনা রুটে সাগরদাঁড়ী এক্সপ্রেস,
সান্তাহার-দিনাজপুর-সান্তাহার রুটে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস,
ঢালারচর-রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম
রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে কমিউটার,
ঢাকা-ঝারিয়া ঝাঞ্জাইল-ঢাকা রুটে বলাকা কমিউটার,
সান্তাহার-লালমনিহাট-সান্তাহার রুটে বগুড়া কমিউটার,
খুলনা-পার্বতীপুর-খুলনা রুটে রকেট এক্সপ্রেস এবং
পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুর রুটে চিলাহাটি এক্সপেস।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে
আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে
যায়। এসময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮
জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর
ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে ২ জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গত ১৬ আগস্ট আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে দেশের সব রুটে
যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ।
নতুন প্রত্যাশায় ।। আকাশ বার্তা
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য...ধন্যবাদ