Header Ads Widget

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩ গ্রাম্য মাতব্বর আটক

বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় ৩ গ্রাম্য মাতব্বরকে নিজ এলাকা থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি ৫ আগস্ট জেলার শেরপুরের খানপুর দহপাড়া গ্রামে ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) রাতে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে ধর্ষক ইমান আলী (৩৬) সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।


জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর দহপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম শফি গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ভ্যান নিয়ে বাড়ির বাহিরে যায়। 
 
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির সোলায়মান প্রামানিকের ছেলে ইমান আলী ওই বাড়িতে ঢুকে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষণ করে চলে যায়। এ ঘটনায় কিশোরীটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তার বাবা মা বিষয়টি বুঝতে পেরে চিকিৎসার জন্য শেরপুর হাসপাতালে আসতে চাইলে একই এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে গ্রাম্য মাতব্বর খানপুর দহপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম লোকমান হোসেন (৫০), ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ (৪৫) ও খানপুর দহপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মনিরুজ্জামান প্লাবন (৩৫) সহ কয়েকজন মাতব্বর ধর্ষিতা ও তার বাবা মাকে ২ দিন ঘরে আটকে রাখে। 
 
এমনকি এই ২ দিন তাদের কোন চিকিৎসাও নিতে দেয়নি ওই গ্রাম্য মাতব্বরগণ। বন্দি থাকা অবস্থায় গত ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষক ইমান আলীর বাবা সোলায়মানের কাছ থেকে ধর্ষিতাকে ১৬ শতক জমি লিখে দেবার শর্তে ধর্ষণের ঘটনা আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করে। 
 
কিন্তু এতে রাজি হননি ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার। পরবর্তীতে ধর্ষিতার বাবা শফিকুল ইসলাম শফি বাদি হয়ে ধর্ষক ইমান আলী সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মীমাংসা বৈঠকে থাকা মাতব্বর লোকমান হোসেন, আব্দুল লতিফ ও মনিরুজ্জামান প্লাবনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার এসআই আলহাজ্ব উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ও ৩০ ধারায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্ত মূল আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ